ফেব্রুয়ারী ১, সাল ১৯৭৩। সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার করছটি গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবার জন্ম গ্রহণ করেন জনাব আব্দুল মুমিন চৌধুরী মুহিন। পাঁচ ভাই চার বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম।
তার পিতা মরহুম হান্নান চৌধুরী (হানাই) সিলেটের কালীঘাট বাজারের “হান্নান ম্যানশন’র স্বত্বাধিকারী” একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক মুসলিমলীগ বর্তমান (আওয়ামীলীগ)’র তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন।
তার একান্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন মরহুম আব্দুস ছালাম মিনিষ্টার। (যাকে বাংলার মানুষ সালাম মিনিস্টার নামে চিনে) তার মাধ্যমে তিনি কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে সচেষ্ট ভূমিকা রাখেন।
আব্দুল মুমিন চৌধুরী তার শিক্ষা জীবন করছটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করেন। তারপর এস এস সি এবং কলেজ থেকে এইচ এস সি সম্পূর্ণ করেন পাশাপাশি তিনি মহাগ্রন্থ আল কোরআনের ১২ পারা হাফিজও বঠে।
শিক্ষা জীবন শেষ করে তিনি হালাল জীবীকার তাগিদে সৌদি আরবে পাড়ি জমান।
দীর্ঘ ৫ বছর সেখানে কটোর পরিশ্রম করে দেশে ফিরে এসে তার বাবা ও ভাইদের চিরচারিত কাজ জনসেবায় মনোনিবেশ করেন। তারপর অনেক সুযোগ এসেছে অনেক দেশে কিন্তু জান নি
২০০৪ সালের ইউপি নির্বাচনে তিনি মোমবাতি নিয়ে জীবনের প্রথম নির্বাচন করে অল্প ভোটে হেরে যান।
কিন্তু এতে ক্লান্ত হননি আবার ছুটে চলতে শুরু করেন কানাইঘাট’র পথেপ্রান্তে
২০১০ সালে দিতীয়বারের মত ঘড়ি প্রতিক নিয়ে ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।
যদিও ২০১৬ সালের নির্বাচনে আনারস প্রতিক নিয়ে বিতর্কিতভাবে হেরে যান।
তারপর ২০১৭ সালে সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ৯ প্রার্থীর মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন।
নির্ভীক যে তাকে হারায় কে? তিনি কানাইঘাটের গ্রাম্য বিচারে, জনসাধারণের বিপদে, সামাজিক সাহায্য সহযোগিতা সব সময় সর্বাগ্রে ভূমিকে রেখে চলেন।
২০২২ সালের ইউপি নির্বাচনে মটরসাইকেল প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা বিপুল ভোটে জয়লাভ করে দিঘীরপার পূর্ব ইউপর নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি উপজেলা আওমীলীগের সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করার পর বর্তমানে কানাইঘাট উপজেলা আওমীলীগের সহ-সভাপতি এছাড়াও কানাইঘাট উপজেলা সমাজ কল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য।
বৃহত্তর জৈন্তা ১৭ পরগনার সন্মানিত সদস্য। জামিয়া মুহাম্মদিয়া দারুল উলুম সাতবাক ধনমাইরমাটি মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটি সহ-সভাপতি। সড়কের বাজার আহমদিয়া আলিম মাদ্রাসা সাবেক সভাপতি। করছটি হাজী নুর মোহাম্মদ রহঃ জামে মসজিদ সভাপতি। চিফ এডভাইজার কানাইঘাট উপজেলা জনকল্যাণ পরিষদ উপদেষ্টা স্বপ্নচারী সমাজ কল্যাণ পরিষদ। সভাপতি হান্নান ম্যানশন কালিঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সিলেট। সভাপতি কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফোরম। সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নানাবিধ দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ভূমি-দাতা পশ্চিম দর্পনগর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কানাইঘাট উপজেলা,সিলেট।
সিলেট বিভাগে শ্রেষ্ট চেয়ারম্যান হিসাবে ধারাবাহিকভাবে ২০১২,২০১৩,২০১৪ সালে তিনি (মাদার তেরেসা স্বর্ণ পদক) এওয়্যার্ড লাভ করেন।
আস্থা আর ভালোবাসাই যার মূলধন তাকে ধমিয়ে রাখে কে! রাজনীতির মূল লক্ষই যদি হয় মানবতার সেবা আর জনগনের কল্যাণ তাহলে তরুণরা বিশ্বাস করে গত ৩৩ বছর ধরে যিনি কানাইঘাট’র জন্য সময় দিয়েছেন।
এই মানুষটি আগামীর উপজেলা চেয়ারম্যান হলে কানাইঘাট’র জনপ্রত্যাশা পূরণ হবে তাই জননেতা জনাব ” আব্দুল মুমিন চৌধুরী মুহিন”কে আগামী কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারমেন পদে দেখতে চায় তরুনরা।
পারিবারিক বিবরণ
বড় ভাই মরহুম আফতাব উদ্দীন চৌধুরী (তেরা)ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট সালিসি ব্যক্তিত্ব যার বড় ছেলে হারুন রশিদ চৌধুরী দিঘীরপার ইউপি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কানাইঘাট সৌদি প্রবাসী সমাজ কল্যান পরিষদের সিনিয়র আহবায়ক ও ছোট ছেলে আব্দুর রশিদ চৌধুরী বাবলু সিলেট এম.সি বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক ছাত্রনেতা বর্তমানে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ফ্রান্স শাখার নেতৃত্ব দিতেছেন।
মেজ ভাই মরহুম আব্দুল মুতলিব চৌধুরী (মতু)একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তার সাহস ও বুদ্ধিমত্তা ছিল প্রশংসনীয়। খুব অল্প বয়সে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে ইহকাল ত্যাগ করেন। সাথে চাচাত ভাই ও ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা
ছোট ভাই আব্দুস শহীদ চৌধুরী শাহীন গত ২৫ বছর থেকে সৌদি আরবে অবস্থান ও প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বৃহত্তর সিলেট আওয়ামী পরিবার’র সহ-সভাপতি ও সৌদি প্রবাসী সমাজ কল্যান পরিষদের সিনিয়ার সহ সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন।
ছোট ভাই আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী রুহিন বনরাজ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর স্বত্বাধিকারী একসময় কানাইঘাট উপজেলা যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি সাবেক যুগ্ম আহবায়ক দিঘীরপাড় আওয়ামীলীগ। সাবেক সদস্য কানাইঘাট উপজেলা যুবলীগ। সাবেক সভাপতি দিঘীরপাড় যুবলীগ। সভাপতি সড়কের বাজার বানিক সমিতি সহ-সভাপতি সানরাইজ বহুমুখী সমবায় সমিতি। সাধারন সম্পাধক জনতা এন্টার প্রাইজ উপদেষ্টা অনির্বাণ ছাত্র ও যুব সংঘ
তার মামা মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান চৌধুরী তেরা মিয়া।
মামাতো ভাই সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যন হেলাল আহমদ চৌধুরী।
পারিবারিকবাবে উনারা সকল ভাই এখনো একত্রিত রয়েছেন এবং মুমিন চৌধুরী বাবার সিলেটের ব্যবসা এবং নিজের ব্যবসা সহ সড়কের বাজারের অনেক ব্যবসা সাথে জড়িত রয়েছেন এবং ছোট ভাইরা একজনের সড়কের বাজার নিজস্ব ব্যবসা ও আরেকজনের সৌদি আরবে নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে